আমাদের মারবেন না প্লিজ!

প্রথম প্রকাশঃ মার্চ ১৬, ২০১৬ সময়ঃ ২:১৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৮ অপরাহ্ণ

তহিদুল ইসলাম

moskiuto

আমাদের মারবেন না প্লিজ। আমরাতো মানুষ, দু:খিত মশা।আপনারা একটু আমাদের কষ্টটা বুঝে দেখুন। যেভাবে জাবির হৃদয়বান মানুষগুলো বুঝতে পেরেছে। তাদের কারণে জাবিতে এখন আমরা স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারি।বিশ্বাস হচ্ছে না তো, তাহলে তাদের মুখেই শুনুন:  

যেভাবে মশারা সন্ধা থেকে সকাল অবধি মাত্র এক ফোটা রক্তের জন্য বিরতিহীনভাবে পরিশ্রম করে তাতে তাদের শ্রমশক্তির প্রশংসা না করলে পুরো মশা জাতির শ্রমের প্রতি অবমাননা করা হবে। তারা যে আমাদের কাছ থেকে শুধু রক্ত নেয় এমনটি নয় বিনময়ে তারা আমাদেরকে তাদের কোকিলকণ্ঠি সুরের সহায়তায় সঙ্গীত সেবা দেয়।

কিছু কিছু মশাতো এক ধাপ এগিয়ে। তারা শুধু রাতের বেলায় সীমাবদ্ধ থাকেনা দিনের বেলায়ও  তাদের উচ্চমানের সঙ্গীত দ্বারা আমাদের সেবা দেয়। কিন্তু আমরা কি পারি তাদের শ্রমের উপযুক্ত মূল্য দিতে? মাত্র এক ফোটা রক্তের জন্য তাদের কতই না কাঠখড় পেরোতে হয়। কিন্তু তাদের শ্রমের মূল্য কি মাত্র এক ফোটা রক্ত দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব?

সম্ভব না, আবার এই এক ফোটা রক্তও তো আমরা স্বেচ্ছায় দেই না বরং সুযোগ পেলেই তাদের মূল্যবান ক্ষুদ্র দেহের উপর অমানসিকভাবে চড় থাপ্পড় বসিয়ে দেই, অপমৃত্যু হয় একটি প্রতিভাবান মশার। হয়তো এই মশাটিই হতে পারত আলেকজান্ডারের মতো সাহসী!

তাদের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। আগের মতো তাদের আর কামড়াতে দেখি না। বাঘ সিংহের সংখ্যা কমে গেলে তো পরিবেশবাদীদের ঘুম হারাম হয়ে যায়!!  কিন্তু মশা জাতিদের পক্ষে তো কাউকে কথা বলতে দেখি না!! ইদানিং আবার দেখছি কেউ কেউ ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিয়ে হুমকির মুখে থাকা মশাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার  চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আমি মশাদের অভয় দিয়ে বলতে চাই, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাদের কোন সমস্যা নাই। জাবি আপনাদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। গ্রামে যদি আপনাদের নাতি -নাতনি সন্তান- সন্ততি থেকে থাকে; তবে শীঘ্রই তাদের জাবিতে নিয়ে আসুন। আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করা হল জাবির প্রতিটি দরজা-জানালা।

======

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G